Posts

Showing posts from July, 2024

প্রতিটি মানুষের জান্নাতুল ফিরদাউস অর্জন করার সুযোগ

Image
  আমরা সবাই এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার মোহে বিভোর হয়ে পড়ি। কিন্তু শুধু মৃত্যুর বাস্তবতাই আমাদের সবাইকে জাগিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। আপনি সবকিছু অস্বীকার করতে পারেন কিন্তু মৃত্যুকে তো অস্বীকার করতে পারবেন না। যদি কোনো কিছুই আমাদের মন পরিবর্তন না করে, মৃত্যু তো অবশ্যই আমাদের মন পরিবর্তন করবে। যদি কোন কিছুই আমাদের চিন্তা করতে অনুপ্রাণিত না করে, মৃত্যু তো অবশ্যই আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করবে। এই দুনিয়াতে আমরা কেউই চিরকাল বেঁচে থাকবো না। আমরা সবাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নিকট ফেরত যাবো। এই পৃথিবীতে আমাদের অবশিষ্ট সময় এবং দিনগুলো নম্বর দিয়ে নির্ধারিত। প্রতিটি দিন শুধু একবারই আসে। আজকের দিনটি আর কোনোদিন ফেরত পাবো না। প্রতিটি সকালে আমাদের চিন্তা উচিত—আজ আমি আমার পরবর্তী জীবনের জন্য কি কি পাঠাবো। আমার আসল জীবনের জন্য আজ আমি কী বিনিয়োগ করবো। আমরা সবাই জানি, আল্লাহ এই দুনিয়াতে সবাইকে সমান জীবনোপকরণ প্রদান করেননি। আমাদের প্রত্যেককে পৃথক করে সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রত্যেককে পৃথক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আমাদের প্রতিভা ভিন্ন, আমাদের দুর্বলতা ভিন্ন, আমাদের শক্তিমত্তা ভিন্ন, আমাদের সম্ভাবনা ভি

আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা তৈরি করতে হবে

Image
  আধুনিক দুনিয়ায় যেভাবে ক্ষমতা তৈরি করতে হবে || নোমান আলী খান ----------------------------------------------------------- মুসলিমরা একটা সংকটের মধ্যে রয়েছে। এই গত এক বছরে এটা বেশ স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে, যদিও আমাদের সংখ্যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার বিশ শতাংশেরও বেশি, গণহত্যা বন্ধের জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত কান্না এবং চিৎকার, বাস্তবিক অর্থে কিছুই করেনি। বাস্তবিক অর্থে এটা কিছুই করেনি। আর আমরা সকলেই জানি যে, যা ঘটছে তার জন্য অমুসলিমরা যখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে, তখনই এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পৃথিবী এটাকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গ্রহণ করা শুরু করেছে এজন্য না যে মুসলিমরা বলছে, “নিরপরাধ বেসামরিক মানুষদের হত্যা করা অনুচিৎ, হাসপাতালগুলোতে বোমা নিক্ষেপ করা অনুচিৎ, স্কুলে বোমা নিক্ষেপ অনুচিৎ, শরণার্থিদের উপর বোমা নিক্ষেপ অনুচিৎ, নিরপরাধ মানুষকে কারাগারে রাখা অনুচিৎ”। এটা এজন্য গুরুত্ব পায় নি যে, মুসলিমরা এটা বলছে, কারণ মুসলিমরা এটা বলে আসছে গত ৭০ বছর ধরে। বরং এটা এজন্য ঘটেছে যে, কোনো এক শ্বেতাঙ্গ তরুণী টিকটকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছে, “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কি ঘটে যাচ্ছে।” কয়ে

ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ভোগবিলাসের মাঝে

Image
  আল্লাহ আপনাকে সবধরণের উপকরণ সরবরাহ করেছেন যেন হেদায়েত পেতে পারেন। এই জীবনটা ব্যবহার করে যেন চিরস্থায়ী জান্নাত অর্জন করতে পারেন। কিন্তু, আপনি কী করলেন? ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ভোগবিলাসের মাঝেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন। আপনার কাছে আছে কুরআন, আপনার কাছে আছে রাসূলের শিক্ষা। আপনাকে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, অন্তঃকরণ এবং বিবেক বুদ্ধি। আপনি ইচ্ছে করলে সবচেয়ে সেরা মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু খারাপ হওয়াটাকেই নিজের জন্য পছন্দ করলেন। দোষ কার? আল্লাহ কাউকে ঘৃণা করেন না। নিজের অন্যায়ের জন্য আল্লাহকে দোষ দিবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনাকে চান্স্ দিয়েছেন। আপনার হেদায়েত পাওয়াটাকে তিনি দারুন ভালোবাসেন। জীবনটা তো একটি উপহার। কারণ, এ জীবনে তাঁর কথামত চললে আপনার জন্য আছে অকল্পনীয় চিরসুখের জান্নাত। পাবেন চিরস্থায়ী জীবন। ভোগ বিলাস এবং আনন্দ ফুর্তি করতে পারবেন চিরকাল। আরো আছে মহাবিশ্বের মালিকের চিরকালীন সন্তুষ্টি। তিনি কোনোদিন জান্নাতবাসীদের উপর অসন্তুষ্ট হবেন না। পৃথিবীর গাছপালা, পশুপাখির তো জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মানুষের আছে। তাই, এ মহা সুযোগটাকে কাজে লাগান। আমাদের তিনি কুর

ভালো মানুষ কারা?

Image
  ভালো মানুষ কারা? যারা ধর্মীয় কাজ করে তারা? নাকি যারা নৈতিকভাবে ভালো তারা? চলুন দেখি কুরআন এ বিষয়ে কী বলে— -------------------------------------- ভালো কাজের সংজ্ঞা কে নির্ধারণ করবে? এই পৃথিবীতে দুই ধরনের ভাল কাজ আছে। এটা একটু মনে রাখবেন। দুই ধরনের ভাল কাজ আছে। নৈতিক ভাল কাজ। আমি প্রতিবেশীর প্রতি ভাল। আমি কর্মক্ষেত্রে সৎ। আমি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করি। আমি চুরি করি না। আমি মানুষকে ঠকাই না। এগুলো হচ্ছে নৈতিক ভাল কাজ। ঠিক আছে? এরপর আছে ধর্মীয় ভাল কাজ। আমি হজ্জে যাই। আমি যাকাত দেই। আমি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। আমি রামাদানে রোজা রাখি। এগুলো নৈতিক অর্থে ভালো কাজ না, এগুলো ধর্মীয় অর্থে ভালো কাজ। অনেক সময় মুসলিমরা এবং নন-মুসলিমরা, বিশেষ করে মুসলিমরা, আমরা এই দুটো জিনিসের মধ্যে পার্থক্য করে ফেলি। মুসলিম বিশ্বে আপনি এমন মানুষ খুঁজে পাবেন যারা নৈতিকভাবে ভালো। তারা তাদের পরিবারের সাথে ভালো। তাদের সন্তানদের যত্ন নেয়। তারা তাদের বাড়িতে দায়িত্বশীল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো। কর্মক্ষেত্রে তারা সৎ। ভাল মানুষ। কিন্তু তাদের মধ্যে ধর্ম বলতে কিছু নেই। "ভাল হওয়ার জন্য আমার ধর্ম লাগে না"

বিনয়ের সঙ্গে সমালোচনা নেওয়ার একটি ঘটনা

Image
  ইমাম মালেক (রা.) ছিলেন তাঁর সময়ের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞজনদের একজন। তিনিই সেই ইমাম, যিনি চার মাজহাবের একটি ‘মালেকি মাজহাব’ প্রবর্তন করেছিলেন। ফিকহ তথা কোরআনের নিয়মকানুন সম্পর্কে তাঁর এত গভীর জ্ঞান ছিল যে তিনি কোনো বিষয়ে ফতোয়া জারি করতে পারতেন। ইমাম মালেক (রা.) একদিন আসরের পর মসজিদে এলেন। কিছুক্ষণ পরই মাগরিবের আজান দেবে। মসজিদে আসার পর তিনি বসে পড়লেন। মালেকি মাজহাব অনুযায়ী আসরের নামাজের পর মাগরিবের আগ পর্যন্ত কোনো নামাজ পড়ার বিধান নেই। তিনি এটাই বিশ্বাস করেন এবং তাঁর মতে এটাই সঠিক নিয়ম। এদিকে একটি ছোট ছেলে ইমাম মালেক (রা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আপনি মসজিদে এসেছেন অথচ আদব শেখেননি। মসজিদে আসলে দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়।’ এই বলে সে হাদিসের বই খুলে দেখাতে লাগল। সে বলল, ‘এই দেখুন হাদিস।’ অথচ সে তখনকার সবচেয়ে বড় মুহাদ্দিসের সঙ্গে কথা বলছিল। ছেলেটির কথা শুনে ইমাম মালেক (রা.) কোনো কথাই বললেন না, তিনি দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নিলেন। এতক্ষণ মসজিদের সবাই এই কাণ্ড দেখছিল। সবাই জানে মসজিদে এসে মাগরিবের আগে নামাজ পড়া উচিত না, এটি তাদের মাজহাবে নেই। অথচ ইমাম নিজেই নামাজ পড়তে শুরু করেছেন। ইমাম মালেকের অনুসা

তাহাজ্জুদ নামাজে ওঠার জন্য কয়েকটি কৌশল

Image
  তাহাজ্জুদের নামাজ সবচেয়ে বড় নফল ইবাদত। মাত্র দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মর্যাদা পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রীকে জাগাবে এবং দুজনে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহর দরবারে তারা শ্রেষ্ঠ জিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।’ এই নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। যে ইবাদতকে শয়তান সবচেয়ে ঘৃণা করে, তা হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। শয়তানের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে যায় শয়তান তখন তার মাথার কাছে এসে বসে তিনটি গিঁট বাঁধে। প্রতিটি গিঁট বাঁধার সময় একটি কথা বলে. তোমার সামনে আছে দীর্ঘ রাত, তুমি ঘুমাও। যখন বান্দা ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর জিকির করে, তখন একটি গিঁট খুলে যায়। সবশেষে যখন সে নামাজ পড়ে, তখন শেষ গিটটি খুলে যায়।’ তাহাজ্জুদের সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য কিছু বিষয় অনুসরণ করা যেতে পারে প্রথমত, ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ত নিয়ে ঘুমাতে উত্তম। এর সবচেয়ে চমৎকার তাৎপর্য হলো, কোনো কারণে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতে না পারলে সওয়াব পা

চিরস্থায়ী জান্নাত অর্জন

Image
  আল্লাহ আপনাকে সবধরণের উপকরণ সরবরাহ করেছেন যেন হেদায়েত পেতে পারেন। এই জীবনটা ব্যবহার করে যেন চিরস্থায়ী জান্নাত অর্জন করতে পারেন। কিন্তু, আপনি কী করলেন? ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার ভোগবিলাসের মাঝেই নিজেকে ডুবিয়ে রাখলেন। আপনার কাছে আছে কুরআন, আপনার কাছে আছে রাসূলের শিক্ষা। আপনাকে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি, অন্তঃকরণ এবং বিবেক বুদ্ধি। আপনি ইচ্ছে করলে সবচেয়ে সেরা মানুষ হতে পারতেন। কিন্তু খারাপ হওয়াটাকেই নিজের জন্য পছন্দ করলেন। দোষ কার? আল্লাহ কাউকে ঘৃণা করেন না। নিজের অন্যায়ের জন্য আল্লাহকে দোষ দিবেন না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আপনাকে চান্স্ দিয়েছেন। আপনার হেদায়েত পাওয়াটাকে তিনি দারুন ভালোবাসেন। জীবনটা তো একটি উপহার। কারণ, এ জীবনে তাঁর কথামত চললে আপনার জন্য আছে অকল্পনীয় চিরসুখের জান্নাত। পাবেন চিরস্থায়ী জীবন। ভোগ বিলাস এবং আনন্দ ফুর্তি করতে পারবেন চিরকাল। আরো আছে মহাবিশ্বের মালিকের চিরকালীন সন্তুষ্টি। তিনি কোনোদিন জান্নাতবাসীদের উপর অসন্তুষ্ট হবেন না। পৃথিবীর গাছপালা, পশুপাখির তো জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু মানুষের আছে। তাই, এ মহা সুযোগটাকে কাজে লাগান। আমাদের তিনি কুর

প্রচুর মানুষ জাহান্নামে যাবে

Image
  আমরা কুরআন এবং হাদিস থেকে শিখেছি যে প্রচুর মানুষ জাহান্নামে যাবে, অগণিত অসংখ্য মানুষ। জাহান্নামে বেশি মানুষ থাকবে জান্নাতের চেয়েও। বস্তুত, অধিকাংশ মানুষ জাহান্নামে যাবে। কুরআন এবং সুন্নায় এটা উল্লেখ করা হয়েছে। সূরা সাবার ২০ নাম্বার আয়াতে এসেছে- وَ لَقَدۡ صَدَّقَ عَلَیۡهِمۡ اِبۡلِیۡسُ ظَنَّهٗ فَاتَّبَعُوۡهُ اِلَّا فَرِیۡقًا مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ-”তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণিত করল (যে ধারণা ইবলীস আল্লাহর নিকট ব্যক্ত করেছিল যে, অল্প সংখ্যক ব্যতীত সে মানুষদেরকে নিজের বশীভূত করে ছাড়বে)। ফলে মু’মিনদের একটি দল ছাড়া তারা সবাই তার অনুসরণ করল।” আল্লাহ এখানে বলছেন মানব জাতি সম্পর্কে ইবলিশের অনুমান সত্য প্রমাণিত হলো। মানব জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ইবলিশকে অনুসরণ করল। শুধু ছোট একদল ঈমানদার ছাড়া। ইবলিশের অনুসরণটাই মানব জাতির ডিফল্ট অবস্থা। মানব জাতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই জীবনের চেয়েও বড় একটি লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী নয়। বেশির ভাগ মানুষ পশুসুলভ জীবন যাপন করতে পেরেই সন্তুষ্ট। যখন একজন মানুষ পশুর মত জীবন যাপন করে, তখন সে মানুষ একটি পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। কারণ, পশুর তো একটি অজুহাত আছে যে সে এক

বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বনি ই*সরাইল

Image
  বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বনি ইসরাইল, তাদের ঔদ্ধত্য এবং আল্লাহর শাস্তি -------------------------------------- আল্লাহ তায়ালা বলেন— "আমি কিতাবের মাধ্যমে বনী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং ঔদ্ধত্য দেখাবে মারাত্মকভাবে। অতঃপর যখন এ দু’য়ের প্রথম ওয়াদা আসল, তখন আমি তোমাদের উপর আমার কিছু বান্দা পাঠালাম, যারা কঠোর যুদ্ধবাজ। অতঃপর তারা ঘরে ঘরে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালাল। আর এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল। অতঃপর আমি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলাম আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম, তোমাদেরকে জনবলে বহুগুণ বাড়িয়ে দিলাম। তোমরা ভাল কাজ করলে নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে, আর যদি তোমরা মন্দ কাজ কর, তাও করবে নিজেদেরই জন্য। অতঃপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসলো, (তখন অন্য বান্দাদের প্রেরণ করলাম) যাতে তারা তোমাদের চেহারাসমূহ মলিন করে দেয়, আর মাসজিদে (আকসায়) ঢুকে পড়ে যেভাবে তারা সেখানে প্রথমবার ঢুকে পড়েছিল, আর তাদের সম্মুখে যা পড়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। (এরপরও) হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবে

জান্নাতে প্রবেশের জন্য রয়েছে আটটি গেইট

Image
  জান্নাতে প্রবেশের জন্য রয়েছে আটটি গেইট। আর জাহান্নামের গেইট সাতটি। জান্নাতের চেয়ে জাহান্নামে বেশি মানুষ যাবে। আমি আবারো বলছি জান্নাতের চেয়ে জাহান্নামে বেশি মানুষ যাবে। তবু জাহান্নামের চেয়ে জান্নাতের গেইট বেশি। কেন? যখন জাহান্নামীদের সংখ্যা হবে জান্নাতীদের চেয়ে অনেক অনেক অনেক বেশি, তখন জান্নাতের গেইটের সংখ্যা বেশি কেন? আমাদের স্কলাররা এর অনেকগুলো জবাব দিয়েছেন। আর তা হলো—এটা ইঙ্গিত করার জন্য যে, আল্লাহর দয়া সবসময় তাঁর ক্রোধের উপর বিজয়ী। আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্ হলেন আর-রাহমান এবং আর-রহিম। জান্নাতের পথে চলা সহজতর, পথের সংখ্যাও বেশি এবং আপনার জন্যে তা উত্তম। আরো ইঙ্গিত হলো—মানুষকে আশাবাদী করে তোলা। মানুষকে জান্নাতে প্রবেশের জন্য প্ররোচিত করা। দেখো, জান্নাতের রয়েছে আটটি দরজা! জান্নাতের জন্য বেশি দরজা রয়েছে। একটা না একটা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। আশা হারিয়ে ফেলো না। ব্যাপারটা হলো, দিনশেষে মানুষকে আশা এবং আল্লাহর করুণা দেখানো। আল্লাহ এতো সহজ করা সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ ধর্মের প্রতি পিঠ দেখিয়ে অন্যদিকে চলে যাবে। অধিকাংশ মানুষ জীবন নিয়ে গভীরভাবে ভাববে না। তাই তাদের পরিণতিও হবে জাহান্নাম।

শাফায়াত কি? কারা শাফায়াত করার সুযোগ পাবে?

Image
  শাফায়াত কি? কারা শাফায়াত করার সুযোগ পাবে? কেন পাবে? ---------------------------- আমাদের আলেমরা বলেছেন, শেষ বিচারের দিন কোনো শাফায়াত বা সুপারিশ ঘটার জন্য দুইটি শর্ত পূর্ণ হতে হবে। উভয় শর্ত সরাসরি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সাথে সম্বন্ধযুক্ত। প্রথম শর্তঃ আল্লাহ কিছু মানুষকে অনুমতি দিবেন শাফায়াত করার। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তাদের নিজেদের এভাবে বলার অধিকার থাকবে না যে, আল্লাহ আমি চাই অমুক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করুক। না। এরকম বলার অধিকার কারো থাকবে না। একমাত্র আল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে অনুমতি দিলে সে শাফায়াত করার সুযোগ পাবে। "হে অমুক! দাঁড়াও এবং সুপারিশ করো।" তখন সে শাফায়াত করতে পারবে। কারা এ সুযোগ পাবে? ধার্মিক মানুষেরা। পুণ্যবান মানুষেরা। ফেরেশতারাও পাবে। নবী রাসূলেরা, সিদ্দিকিনেরা, শহিদেরা, সৎকর্মশীলেরা। একজন শহিদ ৭০ জনের জন্য সুপারিশ করতে পারবে। একটি হাদিসে এসেছে। কুরআনে হাফেজ ১০ জনের জন্যে সুপারিশ করতে পারবে। মৃত বাচ্চারা তাদের পিতামাতার জন্যে সুপারিশ করতে পারবে। তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি কোটা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় শর্ত হলোঃ আল্লাহ বলেন- وَ لَا یَشۡفَعُوۡنَ ۙ اِلَّا لِمَنِ ارۡتَ

ঐক্য বলতে আসলে কী বুঝায়?

Image
  ঐক্য বলতে আসলে কী বুঝায়? কুরআনে বর্ণিত ঐক্য হলো নিজের ভিতরে অনুভূত ঐক্য। এটা সেরকম ঐক্য না যা শুধু বাহ্যিকভাবে দেখতে ঐক্যের মতো লাগে। এটা ঐক্য না যে, আমরা একইরকম কথা বলি অথবা আমরা একই রকম পোষাক পরি, অথবা আমরা একই মাযহাব অনুসরণ করি তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের দাড়ির দৈর্ঘ সমান তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। অথবা আমাদের কাপড় সমান মাপে টাখনুর উপরে থাকে তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা একই বক্তার আলোচনা শুনি তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ। এগুলো সবই অযৌক্তিক, এগুলো সবই অর্থহীন। প্রকৃত ঐক্য হলো, যখনই আপনি কোনো মুসলিম ভাইকে দেখেন, যেই মুহূর্তে তিনি আপনাকে সালাম দেন, অন্য সকল প্রতিবন্ধকতা অদৃশ্য হয়ে যায়। وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلَامَ لَسْتَ مُؤْمِنًا - ওয়ালা তাক্বুলু লিমান আলক্বা ইলাইকুমুস সালামা লাসতা মুমিনা। -- "কেউ যদি তোমাদের প্রতি সালাম ছুঁড়ে দেয় তাহলে তাকে বল না, তুমি মুমিন নও।" এটুকুই। তার সালামই যথেষ্ট। তারা আপনার ভাই, আপনি তাদের জন্য সদা-প্রস্তুত, তারা আপনার জন্য সদা-প্রস্তুত। প্রকৃত ঐক্য হলো, অপর মুসলিমকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসা। মুসলিম ভাইয়ের জন্য হৃদয় উন্মুক্ত করা, তার সকল প্রয়োজন

নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার

Image
  আল্লাহ তায়ালা বলেন - وَ اِنَّ لَکَ لَاَجۡرًا غَیۡرَ مَمۡنُوۡنٍ - "তোমার জন্য অবশ্যই রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার।" (৬৮ঃ০৩) এখানে 'আজরান গাইরা মামনুন' অর্থ এমন পুরস্কার যা কোনোদিন কাটা পড়বে না, শেষ হবে না, অন্তহীন, অফুরন্ত unending reward. এখন, কুরআন কেন নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কারের কথা বলছে? এর কারণ হলো, আল্লাহ সুব হানাহু ওয়া তায়ালা এই বিশ্ব তৈরী করেছেন শুধু একটি উদ্দেশ্যে। আর সেই উদ্দেশ্যটি হলো, আপনি এখানে কঠোর পরিশ্রম করবেন জান্নাত পাওয়ার জন্য। এটাই উদ্দেশ্য। মানুষ এখানে ঈমান আনবে, সৎ কাজ করবে, আল্লাহর ইবাদাত করবে তারপর তারা এর বিনিময়ে জান্নাত পাবে। কিন্তু কিছু কিছু প্রয়োজন পূরণ হওয়া ছাড়া আপনি আল্লাহর ইবাদাত করতে পারবেন না। এই দুনিয়াতে আপনার খাদ্য এবং পানীয় দরকার। বসবাসের জন্য ঘর-বাড়ি দরকার যেখানে আপনি রাত কাটাবেন। আপনাকে আবার বিবাহ করতে হবে। কারণ, যদি বিয়ে না করেন তাহলে মানব জাতি কিভাবে চলমান থাকবে? তাহলে দেখা যাচ্ছে আল্লাহর ইবাদাত করতে হলে মানুষের কিছু কিছু জিনিসের প্রয়োজন। কিন্তু এই জিনিসগুলো এখানে দেয়া হয়েছে শুধু ইবাদাতের কাজে সাহায্য করার জন্য। তাই, আপনার মৃত্

গড়িমসি বা দীর্ঘসূত্রতার ক্ষতি

Image
  গড়িমসি বা দীর্ঘসূত্রতার ক্ষতি ------ * ----------- আজ যে কাজটি আজ করতে পারবেন আগামী কালের জন্যে তা ফেলে রাখা যে কতটা ক্ষতিকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জীবনে অনেক কিছুই হয়তো সম্পন্ন করতে পারেননি এই গড়িমসি মনোভাবের কারণে। দীর্ঘসূত্রতা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা জানতে যদি কুরআন হাদিস অধ্যয়ন করেন তাহলে দেখতে পাবেন, ঈমানের বৃক্ষ তৈরী হয় মূলত আমলের উপর ভিত্তি করেই। সর্বত্র আমলের উপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ কী বলেছেন? وَ سَارِعُوۡۤا اِلٰی مَغۡفِرَۃٍ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ جَنَّۃٍ عَرۡضُهَا السَّمٰوٰتُ وَ الۡاَرۡضُ ۙ اُعِدَّتۡ لِلۡمُتَّقِیۡنَ - "তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে ও সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি হচ্ছে আসমানসমূহ ও যমীনের সমান, যা মুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে।" (৩:১৩৩) আল্লাহ আরো কী বলেছেন? "قُمۡ فَاَنۡذِرۡ - وَ رَبَّکَ فَکَبِّرۡ কুম ফাআনজির ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির। "উঠো! সাবধান করো! আর তোমার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।" (৭৪:২-৩) গড়িমসি আসে শয়তানের কাছ থেকে। আমাদের অতীতের বহু বড় বড় আলেমেরা এই বিষয়ে

অন্ধ ভক্ত

Image
  ~~~~অন্ধ ভক্ত~~~~~ কোন আলেম যখন ইসলামের কোনো বিষয়ে অসাধারণ পান্ডিত্য দেখায়, মন গলানো কথা বলে, এতে সাধারণ ব্যক্তি সাধারণভাবেই মুগ্ধ হয়ে তার উপর পূর্ণ আস্থা নিয়ে আসে। অথবা কোন দায়ী যে অসাধারণ বক্তৃতা দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রভাবিত করে। বা কোন পরহেজগার যার নিষ্ঠা আর ইবাদাত দেখে খুবই মুগ্ধ। এ রমক আলেম, দাঈ আর পরহেজগার লোকদের কিছু ভক্তকুল আর একনিষ্ঠ ছাত্র তৈরী হয়। এসব ভক্তকুলদের উপর আসলে নির্ভর করে তারা তাদের আলেম বা দায়ীর জনপ্রিয়তা কোনদিকে নিয়ে যাবে। পৃথিবীর প্রথম শিরক কিন্তু এমন ভক্তদের থেকেই সুত্রপাত। সমস্যা তৈরী হয় আলেম, দাঈ আর পরহেজগার ব্যক্তিদের উপর যখন পরিপূর্ণ আস্থা চলে আসলে। কোন আলেম হয়ত ইসলামের ৮০% বিষয়ে তার গবেষনা করেছেন আর বাকি ২০% এ করার সুযোগ পান নাই। কিন্তু এই ২০% বিষয়েও তার মতামত পাওয়া যেতে পারে যেসব এ ভুল থাকতে পারে তার গবেষনা না থাকার কারণে। তারা মানুষ, তারা কিছু ভুল করবেই করবে। ভক্তরা/ছাত্ররা যদি তার আলেমের উপর শ্রদ্ধা আর ভালবাসার জন্য ঐ ২০% বিষয়ে কুর’আন আর হাদীস থেকে সুস্পষ্ঠ দলীল আসার পর আলেমের মতকে উপরে উঠান তাহলেই সমস্যা, এটাই অন্ধ ভক্ত। কোন প্রশ্ন ছাড়া

নারীদের জন্য ইসলামই সবচেয়ে সুন্দর জীবন বিধান।

Image
  নারীদের জন্য ইসলামই সবচেয়ে সুন্দর এবং সবচেয়ে নিরাপদ জীবন বিধান। স্বামী স্ত্রী উভয়ে যদি উত্তীর্ণ হয়ে আসতে পারে তাহলে উভয়ে একত্রে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন- اُدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ اَنۡتُمۡ وَ اَزۡوَاجُکُمۡ تُحۡبَرُوۡنَ - "তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিনীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।" (৪৩:৭০) আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা কয়েকবার উল্লেখ করেছেন যে, দম্পতিরা একত্রে জান্নাতে প্রবেশ করবে। দম্পতিরা জান্নাতে একত্রে বসে হাসি আনন্দে মেতে থাকবে। দম্পতিরা একত্রে বিভিন্ন ধরণের পানীয় পান করবে। দম্পতিরা একত্রে ছায়ায় এবং মূল্যবান আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে। এরপর বলা হলো تُحۡبَرُوۡنَ - 'তুহবারুন।' 'তুহবারুন' মানে তোমরা একত্রে সুখী হবে। আনন্দিত হবে। তোমরা জান্নাতে পরস্পর পরস্পরকে সুখী করবে। সুবহানাল্লাহ! এই পৃথিবীতে অনেক সময় বিয়ে সুখের হয় না। হয়তো দুজনেই ধার্মিক। তবু দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। কিন্তু উভয়ে যদি জান্নাতে যেতে পারেন আপনারা সেখানে সুখী হবেন। আপনাদের যাদের বিয়েতে সুখ নেই....প্রসঙ্গত একটি কথা বলে রাখি- দুনিয়ার কোনো বিয়েই পুরোপুরি আনন্দের