Posts

Showing posts from November, 2021

*কেমন_হবে_বিচার_দিবস-?*

Image
  *কেমন_হবে_বিচার_দিবস-?* ❓ ১। "সেদিন সকলে একত্রিত হবে।" __[সূরা আনআম-২২] ২। "দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায়।" _____[মিশকাত-৫২৯৮] ৩। "মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন সমবেত হবে।" ____[বুখারি, মুসলিম] ৪। "কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার অবকাশ পাবে না।" ___[মিশকাত-৫৩০২] ৬। "প্রতি হাজারে ৯৯৯ জন লোক জাহান্নামী বলে ঘোষিত হবে।" ___[বুখারি-৪৭৪১] ৭। "ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে।" __________[বুখারি] ৮। "সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং মানুষের আ'মল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে থাকবে।" ____[বুখারি, মুসলিম] ৯। "দুনিয়াতে যারা আল্লাহ্'র জন্য সিজদাহ্ করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য সিজদাহ্ করেছে তারা সেদিন আল্লাহ্-কে সিজদাহ্ দিতে পারবে না।" ___[সূরা কালাম-৪২, ৪৩] ১০। "মু'মিনদের হিসাব হবে মুখো-মুখি।" ___[মিশকাত] ১১। "যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে হবে, সে ধ্বংস হবে।" ________[মিশকাত-৫৩১৫] ১২। "ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে।"

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) - দশম (শেষ অংশ)

Image
দুই বছর পর । রাসুল (সাঃ)-পরবর্তী খলিফা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু মৃত্যুশয্যায় শায়িত। আবু বকরের অন্তিম সময় ঘনিয়ে আসছে। তিনি মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কী বারে ইন্তেকাল করেছিলেন? আয়েশা উত্তর দিলেন, সােমবারে।' ‘আজ কী বার?" আজ সােমবার।' আবু বকর ওপরের দিকে নিঃসীম শূন্যতায় তাকিয়ে হৃদয়ের ব্যক্ততা প্রকাশ করে বললেন, 'আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, এ রাতের পর যেন আরেকটি রাত আমার জীবনে না আসে। আয়েশা (রাঃ) এর হৃদয়টা বেদনায় মােচড় দিয়ে উঠল। আয়েশা (রাঃ) এর চোখ জলে ভরে গেল। আবু বকর (রাঃ) মেয়েকে কাঁদতে নিষেধ করলেন। তিনি আয়েশা৷ (রাঃ) কাছে আবার জিজ্ঞেস করলেন, 'রাসুল (সাঃ) কে কয়টি কাপড় দিয়ে কাফন দেওয়া হয়েছিল? আয়েশা (রাঃ) বিমূর্ত মুখে জবাব দিলেন, 'আমরা তাঁকে তিনটি কাপড় দিয়ে কাফন দিয়েছিলাম। এগুলাে সাহুলিয়া ছিল। তবে এর মাঝে তার মাথার রুমাল ও জুব্বা অন্তর্ভুক্ত নয়।' আবু বকর (রাঃ) নিজের পরনের কাপড়ের দিকে ইশারা করে বললেন, “আমাকে আমার পরনের কাপড় দিয়েই কাফন দিয়ে। এটাতে জাফরানের সামান্য দাগ আছে,

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) - নবম অংশ

Image
  একবার ঈদের দিন কিছু হাবশী লোক পালোয়ানীর কসরত দেখাচ্ছিল। আয়েশা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর নিকট খেলা দেখার আবদার করলেন। রাসুল (সাঃ) তাঁকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে থাকলেন এবং আয়েশা (রাঃ) সেই খেলা উপভোগ করলেন। যতক্ষন আয়েশা (রাঃ) ক্লান্ত হয়ে নিজেই সরে না গেলেন। রাসুল (সাঃ) ততক্ষন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আয়েশা (রাঃ) এর একদিন মাথা ব্যাথা হলো। রাসুল (সাঃ) তখন রাসুল (সাঃ) এর তখন অন্তিম রোগ লক্ষন শুরু হতে চলেছে। তিনি আয়েশা (রাঃ) কে বললেন, তুমি যদি আমার সামনে মারা যেতে, আমি নিজ হাতে তোমাকে গোসল দিয়ে কাফন করাতাম এবং তোমার জন্য দুআ করতাম। আয়েশা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি আমার মরন কামনা করছেন। যদি এমন হয় তাহলে আপনি তো এই ঘরে নতুন একজন স্ত্রীকে এনে উঠাবেন। রাসুল (সাঃ) এই কথা শুনে মৃদু হেসে দেন। তারপরেই রাসুল (সাঃ) এর মাথা যন্ত্রনা শুরু হলো। নির্ধারিত দিনে নির্দিষ্ট স্ত্রীর ঘরে থাকতেন কিন্তু অসুস্থতায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। প্রত্যাক দিনেই রাসুল (সাঃ) জানতে চাইতেন, আগামীকাল তিনি কোথায় থাকবেন! স্ত্রীগন বুঝতে পারলেন তিনি আয়েশা (রাঃ) এর কাছে থাকতে চাচ্ছেন। তাই তাঁরা সবাই অনুমতি দিলেন। সেই দিন থেকে পার্থিব জীবনের শ

ব্যক্তির পূজারি

Image
  যুগে যুগে যত শিরক হয়েছে সবই অতি আবেগে করেছে। মানুষ যখন কোন ব্যক্তির প্রতি বেশি আসক্তি হয়ে পড়ে তখন তার ভালোমন্দ সবই তাকে আকর্ষণ করে। আসতে আসতে ঐ ব্যক্তির পূজারি হয়ে যায়। এই একদিন তাকে শিরকে নিয়ে পেলে। এটা শয়তানের চূড়ান্ত সাফল্য। আমরা বারসিসার কাহিনিটি আশা করি সবাই জানি। একজন বুজুর্গ লোককে তার ইবাদাত বন্দেগী থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এসে যিনার মতো অপকর্মে লিপ্ত করে শয়তান শান্ত হয়নি তাকে দিয়ে বাচ্চা-মা দুজনকে হত্যা করিয়েছে। এত জঘন্য কাজ করার পরে-ও শয়তান থেমে যায়নি। কারণ শয়তান জানতো সে যদি এখনো অনুতপ্ত হয় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ক্ষমা করে দিবেন। এজন্য শয়তান তাকে শিরক করতে বাধ্য করে। এবার শয়তানের চূড়ান্ত সফলতা অর্জিত হলো কারণ শিরকের গোনাহ আল্লাহ ক্ষনা করেন না। বর্তমানে সবচেয়ে বড় ফেতনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে Celebrity addicts। প্রতিটি যুবক এই নেশায় আসক্ত। খেলাধুলা হারাম তা কিন্তু নয়, তবে অতিরিক্ত Addiction এই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একবার এক লোক নবিজীকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে জিজ্ঞেস করলো, “কিয়ামত কখন হবে?” তিনি পাল্টা জিজ্ঞেস করলেন, “কিয়ামতের জন্য তুমি কী প্রস্তুত করেছো?” সে বলল

আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী free download

Image
আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী download from below link http://publication.quantummethod.org.bd/detail/3e2c45c0-ff8c-11e3-86f9-00270e0b2b42

হেদায়েত বান্দার প্রতি রবের বিরাট অনুগ্রহ

Image
হেদায়েত মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। যে হেদায়েত পেয়েছে সে জান্নাত পেয়েছে। হেদায়েতের মূলমন্ত্র হলো কালিমায়ে তাইয়িবার মর্মের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করা। মহানবী সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মনেপ্রাণে, বিশ্বাসের সাথে কালেমা পাঠ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (ইবনে হিব্বান) সুতরাং দুনিয়া ও আখেরাতের চূড়ান্ত সফলতা হেদায়েতপ্রাপ্তির ওপর নির্ভরশীল। কেননা, যে হেদায়েদের পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে কুফরিকে গ্রহণ করল সে জাহান্নামকে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নিলো। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে হাঁকিয়ে নেয়া হবে।’ (সুরা ঝুমার, আয়াত : ৭১) পরের আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের দরজা দিয়ে প্রবেশ করো, সেখানে চিরকাল অবস্থানের জন্য। কত নিকৃষ্ট অহংকারীদের আবাসস্থল।’ কিন্তু কাঙ্ক্ষিত এ হেদায়েত ও সফলতা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিতে মানুষের কোনো দখল এবং হাত নেই; বরং আল্লাহ যাকে চান তাকে হেদায়েত দান করেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যাকে ভালোবেসেছেন তাকে হেদায়াত করতে পারবেন না, কিন্তু আল্লাহ তাআলা যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন।’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৫৬) বিষয়টি বুঝতে কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনা তুলে ধরা হলো- হজরত নুহ আ.-এ

শেষ বিচারের দিন

Image
  শেষ বিচারের দিন মানুষের গ্রূপিং করা হবে তাদের কৃত আমলের উপর ভিত্তি করে। প্রতিটি জাতি থেকে, প্রতিটি বর্ণ থেকে, প্রতিটি পরিবার থেকে ভালো এবং খারাপদের আলাদা করে ফেলা হবে। সেদিন আল্লাহ অপরাধীদের উদ্দেশ্য করে বলবেন- وَ امۡتَازُوا الۡیَوۡمَ اَیُّهَا الۡمُجۡرِمُوۡنَ - ‘হে অপরাধীরা, আজ তোমরা পৃথক হয়ে যাও’। পৃথিবীতে তোমরা ভালো মানুষদের সাথে একত্রে থাকতে। আজ আর থাকতে পারবে না। শুধু চিন্তা করে দেখুন, যিনি আমাদের আসল অবস্থা জানেন তিনি বলবেন আমি জানি তুমি আসলে কে। আজকে আলাদা হয়ে যাও। আমরা নিজেদেরকে লুকাতে পারি না। অনেক অপরাধী ধার্মিক পরিবারে বসবাস করে আসছে, তাদেরকে সেদিন আলাদা হয়ে যেতে হবে। অনেক অপরাধী মসজিদের পাশেই বসবাস করে আসছে, তাদেরকে সেদিন পৃথক হয়ে যেতে হবে। একবার ইমাম আবু হানিফা (র) এশার নামাজের পর নফল নামাজে দাঁড়িয়ে এই আয়াত পাঠ করছিলেন, লোকজন সকাল বেলা ফজর পড়তে মসজিদে এসে দেখেন তিনি তখনও একই আয়াত পাঠ করে যাচ্ছেন আর কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- "হে বনী আদম, আমি কি তোমাদেরকে এ মর্মে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা করো না। নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য

ইসলামের সৌন্দর্য (সপ্তম পর্ব)

Image
  আমরা প্রত্যেকেই আমাদের বন্ধুদের কোনো গোপন কথা জানি। যে গোপন কথা হয়তোবা আমি ছাড়া আর কোনো মানুষ জানে না। হতে পারে সেই বন্ধুটি একসময় মেমোরিকার্ড, পেনড্রাইভ আদান-প্রদান করতো। কিংবা ধরুন, একদিন তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে দেখলাম সে আপত্তিকর কোনো কিছু দেখছে। এখন যে দ্বীন মানার চেষ্টা করছে, অতীতে তো তার দু-চারজন গার্লফ্রেন্ড ছিলো। তার সেইসব ছবিও তো আমার কাছে আছে। এখন আমি কী করবো? তার অতীতের পাপ কিংবা তার গোপন পাপগুলো সবাইকে বলে বেড়াবো? তাকে ‘Roast’ করবো? একজন মানুষের গোপন পাপ দেখে ফেলার পর তার দোষচর্চা হলে কোনো লাভ হয়? বরং যার দোষচর্চা হয় সে লজ্জা পায়, মানুষ তাকে কী ভাববে এই চিন্তায় সে মনে মনে দগ্ধ হয়। পাপ কাজটি করার জন্য সে অনুতপ্ত না হয়ে বরং পাপ কাজটি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সে অনুতপ্ত হয়। প্রাইভেসি হুমকিতে পড়ে অনেকেই আত্মহত্যার কথাও চিন্তা করে! তারমানে একজন মানুষ গোপনে পাপ করলেও সে প্রাইভেসি নিয়ে কনসার্ন। সে চায় না তার পাপের কথা সবাই জানুক। কিন্তু কেউ যদি তাকে দেখে ফেলে? ইসলাম এই বিষয়টি খুব সুন্দর করে সমাধান করেছে। প্রথমত, ইসলাম গোপন বা প্রকাশ্য কোনো ধরণের পাপকে সমর্থন করেনা। কিন্তু, এসব ক্ষেত্রে ইসল

দাম্পত্যজীবন আল্লাহর অশেষ নিয়ামত

Image
  দাম্পত্যজীবন আল্লাহর অশেষ নিয়ামত দাম্পত্যজীবন স্বামী-স্ত্রীর জন্য আল্লাহর নিয়ামত। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। আদিতে আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর একাকিত্ব দূর করার জন্য সৃজন করলেন মা হাওয়া (আ.)-কে। কোরআন করিমের বর্ণনা—‘হে মানবকুল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক সত্তা থেকে। এবং তা থেকে তার সঙ্গী সৃষ্টি করলেন। অতঃপর তাদের উভয় থেকে বহু নর-নারীর বিস্তার ঘটান।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ১) দাম্পত্য সম্পর্ক আল্লাহর সেরা দান ও তাঁর কুদরতের প্রকাশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে; অতঃপর তিনি তার বংশগত সম্পর্ক ও বৈবাহিক আত্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। আপনার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।’ (সুরা: ২৫ ফুরকান, আয়াত: ৫৪)। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম হলো, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।’ (সুরা: ৩০ রুম, আয়াত: ২১) স্বামী-স্ত্রী দা

হাদীস

Image
 

হাদীস

Image
 

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) - অষ্টম অংশ

Image
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আয়েশা (রাঃ) কে একটু বেশি ভালোবাসতেন। তা নিয়ে অন্যান্য স্ত্রীরা কিছুটা ঈর্ষাবোধ করতেন। নবী (সাঃ) যেই দিনগুলোতে আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে থাকতেন সেই দিনগুলোতে সাহাবীগনেরা উপহার পাঠাতেন। এই নিয়ে বাকি উম্মুল মুমিনিনরা রাসুল (সাঃ) এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) কে পাঠালেন তাদের মনের কথা রাসুল (সাঃ) কে জানানোর জন্য। কিন্তু রাসুল (সাঃ) ফাতিমা (রাঃ) এর কথা শুনে বললেন, মা, আমি যা চাই, তুমি কি তা চাও না! ফাতিমা (রাঃ) বুঝতে পেরে চলে আসলেন। এবার তাঁরা বয়স্কা বুদ্ধিমতি উম্মে সালামা (রাঃ) কে পাঠালেন। তাকে রাসুল (সাঃ) বললেন, আয়েশা ছাড়া আর কোন স্ত্রীর লেপের নীচে আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি। আয়েশা (রাঃ) কে সর্বাধিক ভালোবাসার কারন আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'আলার নির্দেশ। তাছাড়া আয়েশা (রাঃ) সমঝ-বুঝদার, চিন্তা-অনুধ্যান, হুকুম আহকাম স্মৃতিতে ধারন ক্ষমতা বেশি ছিলেন। সব মিলিয়েই আয়েশা (রাঃ), রাসুল (সাঃ) এর প্রিয়তমা হয়ে উঠেছিলেন। রাসুল (সাঃ) এর স্ত্রীগনেরা একদিন সমবেত হয়ে আসলেন আবদার নিয়ে যে তাঁদের এমন দীন-হীন জীবন-যাপনে কষ্ট হচ্ছে। রাসুল (সাঃ) যেন জীবন-যাপনের মান বৃদ্ধি করেন। এর পরিপেক্ষ

ইসলামের সৌন্দর্য (ষষ্ঠ পর্ব)

Image
ইবাদাত সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া কতোগুলো রিচ্যুয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ, আমরা মনে করি শুধুমাত্র পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, রামাদ্বানের রোজা রাখা, মসজিদে সাদকা করার মধ্যেই বুঝি ইসলাম সীমাবদ্ধ। এরকম পাঁচ-সাতটি রিচ্যুয়াল কেউ ভালো মতো করলেই সে ‘ভালো মুসলিম’ বলে স্বীকৃতি পায়, পরহেজগার বলে পরিচিতি লাভ করে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে দেখলে বুঝা যায় যে, ‘ভালো মুসলিম’ হতে হলে শুধুমাত্র রিচ্যুয়ালই যথেষ্ট নয়। ভালো মুসলিম হবার জন্য আল্লাহর সাথে যেমন সম্পর্ক স্থাপন করতে হয় (নামাজ, রোজা, হজ্ব পালনের মাধ্যমে), তেমনি মানুষের কাছেও ভালো হতে হয়। অর্থাৎ, মানুষের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। মানুষের প্রতি কর্তব্য যথাযথ পালন করতে না পারলে কেউ ভালো মুসলিম হতে পারে না। নবিজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বিভিন্ন হাদীস থেকে এর প্রমাণ পাওয়া যায় যে, মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করা, মানুষকে কষ্ট না দেওয়াও ‘ভালো মুসলিম’ –এর পরিচয়। যেমন: “সেই প্রকৃত মুসলিম, যার জিহ্বা এবং হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ।” [সহীহ বুখারী ১০] “যে ব্যক্তি আমাদের ছোটোদের স্নেহ করে না এবং বড়োদেরকে সম্মান করে না, সে আমাদের (মুসলিম) অন্তর্ভুক্ত নয়।” [সুনানে

সহিষ্ণুতা, ইবাদত ও সফলতার পথ

Image
  সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য শ্রেষ্ঠ মানবিক উত্তম গুণাবলির অন্যতম। পবিত্র কোরআনে বহু জায়গায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেকে ধৈর্যশীল ও পরম সহিষ্ণু হিসেবে পরিচয় দান করেছেন। ধৈর্যের আরবি প্রতিশব্দ ‘সবর’। আরবি প্রবাদ রয়েছে, ‘আছ-ছবরু মিফতাহুল ফারাজ’, অর্থাৎ ‘ধৈর্য সফলতার কুঞ্জি।’ সহিষ্ণুতার আরবি প্রতিশব্দ ‘হিলম’। সবর ও হিলম শব্দদ্বয়ের মধ্যে কিছুটা তাত্ত্বিক পার্থক্য রয়েছে। সাধারণভাবে সবর তথা ধৈর্য হলো অপারগতার কারণে বা অসমর্থ ও অসহায় হয়ে প্রতিকারের চেষ্টা বা প্রত্যাঘাত না করা। হিলম, অর্থাৎ সহিষ্ণুতা মানে হলো শক্তি–সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও প্রতিশোধ গ্রহণ বা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা না করা। এই অর্থে সবর বা ধৈর্য অপেক্ষা হিলম তথা সহিষ্ণুতা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই উভয় শব্দ কখনো কখনো অভিন্ন অর্থে তথা উভয় অর্থে ও একে অন্যের স্থানে ব্যবহৃত হয়। হিলম তথা সহিষ্ণুতা সম্পর্কে কোরআন মাজিদে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ তো সম্যক প্রজ্ঞাময়, পরম সহনশীল।’ (সুরা-২২ হজ, আয়াত: ৫৯) সবর তথা ধৈর্য বিষয়ে হজরত আইয়ুব (আ.) সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি তো তাকে পেলাম ধৈর্যশীল। সে কত উত্তম বান্দা! সে ছিল আমার অভিমুখী

রবিউস সানি মাসের তাৎপর্য ও করণীয়

Image
  মহামহিম রাব্বুল আলামিনের অসীম কুদরতের প্রকাশ সময় বা কাল। সময় অনাদি অনন্ত। কালচক্রের ঘূর্ণন নিরন্তর, অবিরত। মানবজীবনে আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতসমূহের মধ্যে প্রথম নিয়ামত হলো জীবন। ইহজগতে জীবনের স্থিতিকাল হলো আয়ু। আয়ু সময়ের সমষ্টি। তাই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সময় বা কালের শপথ করেছেন। (সুরা-১০৩ আসর, আয়াত: ১)। সময়ের প্রকৃত জ্ঞান আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত। বিষয়, বস্তু, ব্যক্তি ও স্থানের সঙ্গে সংযুক্ত করে সময়কে বিশেষ পরিচয়ে বিশেষায়িত বা সংজ্ঞায়িত করা হয়। ব্যবহারিক সুবিধার্থে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ ও নক্ষত্র নানান প্রাকৃতিক, জাগতিক ও মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে মিল রেখে সময়ের হিসাব বা ধারণা প্রকাশ করা হয়। আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমতো চলে।’ (সুরা-৫৫ আর রহমান, আয়াত: ৫)। সময়কে ব্যবহারিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়। আরবি বর্ষপঞ্জি ও ইসলামি হিজরি সনের চতুর্থ মাস ‘রবিউস সানি’, একে ‘রবিউল আখির’ও বলা হয়। এটি ‘রবিউল আউয়াল’ মাসের জোড়া মাস। ‘রবি’ অর্থ বসন্ত, ‘আউয়াল’ অর্থ প্রথম, ‘সানি’ অর্থ দ্বিতীয়, ‘আখির’ অর্থ শেষ বা অন্য। ‘রবিউস সানি’ অর্থ হলো বসন্তকালের দ্বিতীয় মাস বা অন্য

আয়েশা বিনতে আবু বকর (রাঃ) - সপ্তম অংশ

Image
একদিন রাসুল (সাঃ) দোয়া করছিলেন, হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নিঃস্বদের সঙ্গে থাকতে দিন, নিঃস্ব হিসেবে আমার মৃত্যু দিন এবং কিয়ামতের দিন আমি যেন নিঃস্ব হয়েই আপনার সামনে দাঁড়াতে পারি। আয়েশা (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর এমন দোয়া শুনে জিজ্ঞেস করলেন,‘এমন কেন বলছেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)? ' রাসুল (সাঃ) জবাব দিলেন, কারণ হলাে, নিঃস্বরা ধনীদের চেয়ে ৪০ বছর আগে জান্নাতে প্রবেশ করবে। হে আয়েশা (রাঃ) ! গরিব ও অসহায়দের ভালােবাসাে, তাদের নিজের আগলে রাখো, তাহলে কেয়ামতের দিন আল্লাহও তােমার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।' এক রাতে রাসুল (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) ঘুমিয়ে ছিলেন। রাসুল (সাঃ) যখন বুঝতে পারলেন আয়েশা (রাঃ) ঘুমিয়ে গেছেন, এবং সাবধানে একা বাইরে বেরিয়ে এলেন। আয়েশা (রাঃ) ঘুমাননি ঘুমের ভান করে শুয়ে ছিলেন এতক্ষণ। তিনি ভাবলেন তাঁর অগোচরে রাসুল (রাঃ) অন্য স্ত্রীদের সাথে সময় কাটাচ্ছেন তাই পিছু নিলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এগিয়ে চলেছেন। চলতে চলতে তিনি মসজিদে নববি থেকে একটু দূরে অসংখ্য সাহাবির কবরগাহ জান্নাতুল বাকিতে এসে পৌঁছালেন। জান্নাতুল বাকিতে পৌছে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বেশ কিছুক্ষণ

নিজেকে ক্ষমা করে দেয়া

Image
  নিজেকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা কুরআন খুব সুন্দরভাবে বলে। আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও এ কথা বলার মাধ্যমে। কারণ, আল্লাহ যখন তোমাকে ক্ষমা করে দেন তখন তোমারও উচিত নিজেকে ক্ষমা করে দেয়া। তুমি তো আল্লাহর চেয়ে বেশি প্রজ্ঞাবান নও। আল্লাহ যদি তোমার উপর থেকে কালো মেঘ সরিয়ে নিতে পারেন, তখন তুমি তো সেটা নিজে নিজের উপর রাখতে পারো না। তাই, ইসলামের শিক্ষার মধ্যেই এটা অন্তর্ভুক্ত যে, তুমি যখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও, তখন তোমার অবশ্যই নিজেকে কষ্ট দেওয়া বন্ধ করতে হবে, নিজেকে ক্ষমা করে দিতে হবে। বেশির ভাগ সময় আপনি আমি খারাপ কিছু করলে তীব্র অনুশোচনার ফলে নিজেই নিজেকে সবচে বেশি কষ্ট দিতে থাকি। যখন সত্যিকার অর্থে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চান, সবকিছু আল্লাহ দূর করে দেন। সূরা আলে ইমরানের ১৩৫ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন- وَ الَّذِیۡنَ اِذَا فَعَلُوۡا فَاحِشَۃً اَوۡ ظَلَمُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ ذَکَرُوا اللّٰهَ فَاسۡتَغۡفَرُوۡا لِذُنُوۡبِهِمۡ ۪ وَ مَنۡ یَّغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ اِلَّا اللّٰهُ ۪۟ وَ لَمۡ یُصِرُّوۡا عَلٰی مَا فَعَلُوۡا وَ هُمۡ یَعۡلَمُوۡنَ- "আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করলে অথবা নিজদের প্রতি যুলম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে